রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:০১ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:নেছারাবাদে অতিরিক্ত ফিস নিয়ে এসএসসি ফরম পূরন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে কয়েকটি বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। এবারে ফরম পূরনে অতিরিক্ত ফি আদায়ের ব্যাপারে বোর্ডের কড়াকড়ি নিয়ম থাকালেও শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ফরম পূরন করেছেন। জানা যায়, এবারের এসএসসি ফরম পূরনে ব্যবহারিক পরীক্ষা ও কেন্দ্র ফি সহ মানবিক শাখায় নিয়মিত ১,৬৩০ অনিয়মিত ১,৭৩০ টাকা, বিজ্ঞানে নিয়মিত ১,৭২০ অনিয়মিত ১৮২০ টাকা এবং ব্যবসা শাখায় নিয়মিত ১,৬৩০ অনিয়মিত ১,৭৩০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। অথচ,উপজেলার ৬৯ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কয়েকটি বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৪ হাজার থেকে বিয়াল্লিশত টাকা নিয়ে ফরমপূরন করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।কোচিং ফি, কল্যান তহবিল, জরিমানা সহ নানা ফি এর নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ অর্থ নেওয়া হয়েছে। নিরুপায় হয়ে সন্তানদের কথা চিন্তা করে অভিভাবকরা বাধ্য হয়েই প্রতিষ্ঠান প্রধানদের চাহিদা মাফিক টাকা দিয়েছেন। অপরদিকে এক দুই বিষয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরাও জরিমানা দিয়ে ফরম পূরন করেছে। বিদ্যালয়গুলোর প্রধান শিক্ষকরা বলেছেন যারা এক দুই বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির আলোচনা সাপেক্ষে ওই সব শিক্ষার্থীদের ফরম পূরন করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। তবে বোর্ড নির্ধারিত ফি ব্যাতিরেকে তারা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোন অতিরিক্ত ফি নেননি বলে জানান।শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরিচয় গোপন রেখে উপজেলার কয়েকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে কথা বলে খবরের অনেক সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে। পরিচয় গোপন রেখে কথা হয় অলংকারকাঠি এমআর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শংকর কুমার বড়ালের সাথে। তিনি মোবাইল ফোনে জানান, কোচিং ফি সহ চার হাজার টাকা করে ফরম ফিলাপ করা হচ্ছে। আর এক বিষয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের ওই নির্ধারিত টাকা ছাড়া বিয়য় প্রতি ২০০টাকা নেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে পূনরায় জিজ্ঞাস কার হলে তিনি বলেন, আমরা বোর্ড নির্ধারিত ফি ছাড়া কোন বাড়তি ফি নিচ্ছিনা। যা কিছু হয়েছে পরিচালনা পর্রষদের সির্দ্ধান্ত মোতাবেক হয়েছে। অনিয়ম কিছুই হয়নি। পূনরায় মোবাইল ফোনে প্রাথমিক পর্যায়ে তার স্বীরোক্তির কথা মনে করিয়ে দিলে তিনি বলেন, কিছু করবার আগে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে রিপোর্ট করার জন্য এ শিক্ষক অনুরোধ করেন।উপজেলার আরামকাঠি হাজী ইব্রাহিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে ফরম পূরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানাযায়, এবছর ওই বিদ্যালয় থেকে জেনারেলে ৪২ জন শিক্ষার্থী ৩৮ শত টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা দিয়ে ফরম পূরন করেছে। সন্তানের কথা চিন্তা করে নাম পরিচয় গোপন রেখে ওই বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক এমন অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে জানার জন্য বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে না পেয়ে অফিসের ক্লার্ক এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন ফি নেয়ার ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে পারবেন না। সব প্রধান শিক্ষক জানেন। বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো.মোহেব্বুল্লাহ বলেন, অতিরিক্ত ফি এর ব্যাপারে আমরা কিছু বলতে পারবোনা। প্রধান শিক্ষক আমাদের কিছইু বলেননি। এ ব্যপারে মোবাইল ফোনে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রফিকুল আলমকে ফোন দিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন বোর্ড নির্ধারিত ফি ছাড়া কোন বাড়তি ফি নেননি বলে লাইন কেটে দেন। শেহাংগল মাধ্যমিক বিদ্যালয় এন্ড কলেজ এর প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান অতিরিক্ত ফিস নিয়ে শিক্ষার্থীদের ফরম পূরন করেছেন। ওই স্কুলেও ওই একইহারে টাকা নিয়ে ফরম পূরন করা হয়েছে বলেও খবর পাওয় গেছে। প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কারো কাছ থেকে কোন অতিরিক্ত ফি নেয়া হয়নি। নানা ফি এর নামে এভাবে উপজেলার চাঁন মিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কুড়িয়ানা আর্য সম্মিলনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দৈহারি ইউআরকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উড়িবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় অতিরিক্ত ফি আদায় করে ফরম পূরন সম্পূর্ন করেছেন বলে অভিযোগে জানাগেছে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সাঈদ বলেন, আমার অন্যত্র বদলি হয়েছে সেখানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি বিষয়টি তথ্যসহকারে দুদক-কে অবগত করেন।
Leave a Reply